খাসা উপন্যাস। চারমূর্তি, পটলডাঙ্গার প্যালারাম যে পটল দিয়ে শিঙ্গিমাছের ঝোল খায় পালাজ্বরের পিলে এড়াতে আর পরীক্ষায় গোল্লা পেয়ে এক ভাঁড় রসগোল্লা পাবার স্বপ্ন দেখে, পূবের বাংলার হাবাগোবা হাবুল সেন, চতুর ক্যাবলা, আর উন্নত নাসিকা পালের গোদা বিখ্যাত টেনি ম��খুজ্যে তাদের প্রথম অভিযানে ঝন্টি পাহাড়ের দুর্ধর্ষ চৈনিক ডাকুর আবডালে থাকা এক মহা ধড়িবাজ সংগঠনকে হারিয়ে পটলডাঙ্গার নাম উজ্জ্বল করেছে। বহুদিন আগে ঝাউবাংলোর রহস্য পড়েছিলাম। আজ নতুন করে চারমূর্তির সঙ্গে পরিচয় হল। পেটের ভিতর সুড়সুড়িটা কি সেই আল্লাদে হচ্ছে, নাকি হটাৎ রসগোল্লার লোভ চরমে চাগিয়ে ওঠার কারণে হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছি না। এখন এতো রাত্তিরে রসগোল্লা পাবো কোথায়? চার-পাঁচটে রসগোল্লা হলে দারুন ব্যাপার হতো!
বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি টেনিদা। অন্যসবার চেয়ে ভিন্ন এই টেনিদা। এক চড়ে কান কানপুরে পাঠান তিনি। অকুতোভয়, দুঃসাহসী, বীরপুরুষ বলে দাবি করা মানুষটা ভুতের ভয়ে একেবারেই সিঁটিয়ে যান। বইটা পড়ার ইচ্ছা অনেক কাল থেকেই ছিল। বহুবার পিডএফ নিয়েও পড়তে পারিনি। সমগ্র কিনে পড়ার ইচ্ছাটা ছিল প্রবল। সমগ্র কেনা হয়েছে তাই এইবার পড়া হলো এইটা। দারুণ একখানা বই!
নন্টে ফন্টে গোত্রীয় " হাস্যরস" যাদের ভালো লাগে , তারা ছাড়া অন্য অনেকের জন্য যে নারায়ণ গঙ্গোপধ্যায়ের লিখাগুলি নয়,সেটা চারমূর্তি দ্বিতীয়বার পড়তে গিয়ে টের পেলাম । আমার ব্যক্তিগত অভিমত এটাই যে ,এই বই ভালো না লাগলে সম্ভবত এই লেখকের অন্য লেখাগুলো ও ভালো লাগবে না।