...
Show More
একটা জিনিস নিয়া, একটা সমাজ নিয়া, একটা সুবিশাল মহাদেশ নিয়া কোনো ধারণা না থাকলেই কেবল এইরকম ছাইপাশ লেখা সম্ভব। আতঙ্কিত হওয়ার মতো বাজে। বুদ্ধকে নিয়া কথা বলতে গিয়াও এই লোক অচেতনে গ্রীক দর্শনেরই দ্বারস্থ হইছেন, হেরাক্লিটাস-পারমেনিদেসের নদীর আলাপে চলে গেছেন। খুবই হাল্কার উপর ঝাপসা দিয়া চারদিকের বর্ণনা, জায়গাটা ভারতবর্ষও হইতে পারে, চীনদেশও হইতে পারে, সাইপ্রাসও হইতে পারে। সবাই খালি আম খায় পুরা বই জুইড়া। শুধু নির্বাণ আর ওম বলতে শিখার পরেই ভারতীয় দর্শন নিয়া কথা বলতে চাইলে তো হইবো না। মানুষ নাকী এইদেশে মানুষের কানে কানে ওম বলতো! আমি মাঝি চরিত্র দেইখা আশান্বিত হইছিলাম, এখন মনে হয় জাতপাত নিয়া কিছু আসবে। জাতপাত বিষয়ে লেখক কিছু জানলে তো। ব্রাহ্মণের পোলারে দিয়া দাঁড় বাওয়াইছে, একবারও জানার চেষ্টা করে নাই এর ফলাফল কত বিকট হইতো পৃথিবীর এই প্রান্তে। ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণ করছে শুরু থেকেই, মানে তার ব্রাহ্মণ হইলো দ্রোণাচার্য আর দুর্বাসা-নারদ, লেখক একেবারেই বুঝাবুঝির মধ্যে যায় নাই, খোঁজ নিতে যায় নাই। একটা খুব বাজে বিষয় হইলো এইটা সপ্তদশ শতাব্দীতে লেখা হইলে বুঝতাম, এইটা লেখা হইছে বিশের দশকে, যখন টি ই লরেন্স আরব উটে চড়ে ঘুরে ফেলছে, ব্রিটিশরা ভারতকে লুট করা এবং বিশ্লেষণ করা কোনোটাই বাকী রাখে নাই, প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া লেখা প্রায় শেষ, আর দশ বছর পর লাউরির আন্ডার দা ভলকানো চলে আসবে, চলে আসবে অরওয়েলের বার্মিজ ডেইজ। এই বই পৃথিবীর লক্ষ নারী ও নরকে ভারতীয় দর্শনের নামে গু গিলায়ে আসতেছে, এইটা আরো বাজে লাগতেছে। আর সবচাইতে বাজে বিষয় হইলো এইটা নাকী অনেক ভারতীয়ের, অনেক বাঙালী-পাঞ্জাবী-মারাঠীর প্রিয় বই। কীভাবে, সেইটা আমি ভাবতেও চাই না। হরিবল।
চূড়ান্ত রকমের হাইস্যকর একটা বই।
চূড়ান্ত রকমের হাইস্যকর একটা বই।