...
Show More
আবারো রাত তিনটার দিকে ঘুম ভেঙে গেলো। পুরো শরীর ঘেমে গেছে,বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছি। আগের মতোই একটি শুভ্র নীল জামা পড়ে এসেছে মেয়েটা। চেয়ারটা টেনে বসে পড়লো সে। টেবিলের উপর কনুই রেখে গালে হাত দিয়ে একদৃষ্টিতে দেয়ালে টানানো ছবিটার দিকে চেয়ে রইলো যেনো আমার উপস্থিতি টের ই পাচ্ছেনা। ছবিটা সমুদ্রতটে কাফকার। আমাদের জগৎ ভিন্ন,সময়কাল ভিন্ন,তার জগৎে আমার অস্তিত্ব আছে কীনা জানা নেই। তবে একটা বিষয় আমি স্পষ্ট ভাবে জানি,
"মেয়েটাকে আমি ভালোবাসি"
বইয়ের নাম: কাফকা অন দ্য শোর (সমুদ্রতটে কাফকা)
লেখক : হারুকি মুরাকামি
➡️ গল্পটা ১৫ বছর বয়সী এক তরুনের। তার নাম কাফকা তামুরা। ছোটোবেলা থেকেই কারো ভালোবাসা পায়নি,৪ বছর বয়সে মা ছেড়ে চলে গেছে, বাবা সবসময় অভিশাপ দিয়ে গেছে তাকে। তার ছোট্ট জীবনটার বেশিরভাগ সময়ই গেছে লাইব্রেরীতে বই পড়ে। কোনো বন্ধু-বান্ধব নেই, জগৎের প্রতি টান নেই, ভালোবাসার মানুষ নেই। এরকম বন্ধনহীন মানুষের যা করা উচিৎ তাই করে কাফকা। বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। পিছনে রেখে যায় বাবার বিশাল সম্পত্তি। নতুন একটা শহরে গিয়ে একটা পারিবারিক লাইব্রেরীতে চাকরীও জুটিয়ে নেয়। মনের মধ্যে তার অনেক প্রশ্ন, কেনো তার মা তাকে ছেড়ে গিয়েছিলো? তার বাবা তাকে অদ্ভুত অভিশাপগুলোই বা কেনো দিলো? এরকমই হাজাররকম ভাবনা,চিন্তা,উপলব্ধি কাফকা তামুরার সাথে আমাদেরকেও আন্দোলিত করে যায়। একসময় প্রেমে পড়ে সে। তবে যার প্রেমে পড়েছে সে এই জগৎের সত্ত্বা নয়। এরই মাধ্যমে গল্পে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের সূচনা ঘটে। কাফকা তামুরার সমান্তরালে গল্পের অন্যতম মূল চরিত্র মি.নাকাতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক অদ্ভুত ঘটনায় স্মৃতিশক্তি সহ পড়ালেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সেও বন্ধনহীন একজন মানুষ। কথা বলে একটু অদ্ভুতভাবে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সে বিড়ালদের সাথে কথা বলতে পারে। লোকের বিড়াল হারিয়ে গেলে তা খুজে দিতে বদ্ধ পরিকর। কোনো দুশ্চিন্তা নেই,জটিলতা নেই,একদমই ছিমছাম একটা জীবন। কিন্তু ঘটনা পরিক্রমায় একটা খুন করে সে। এরপর শুরু হয় নতুনভবে জীবনে পাঠোদ্ধার এর গল্প। এই গল্পে কাফকা তামুরা ও নাকাতা একসাথে মিশে যায়। গল্পে এই দুজন বাদেও লাইব্রেরীয়ান ওশিমা,মিস সায়েকি,গাড়িচালক ওশিনোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কাফকা ও নাকাতা তাদের সারাজীবন ভালোবাসা খুজে চলেছে, তারা এমন একটা স্থান খুজেছে যেখানে বারবার ফিরে আসা যায়। কাফকা একটা সময় নিজের ভালোবাসা খুজে পায়, সেই ভালোবাসার জন্য অতীত, ভবিষ্যৎ সবকিছু ধ্বংস করতে সে রাজী। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য জাদুবাস্তবতা,আইডেন্টিটি ক্রাইসিস যার মাধ্যমে লেখক গভীর জীবনবোধের সন্ধান করেছেন,দিয়েছেন। ম্যাগনাম ওপাস নামক একটা শব্দ আছে যার দ্বারা কারো শ্রেষ্ঠ কাজ বুঝানো হয়।কাফকা অন দ্য শোরকে বলা হয় হারুকি মুরাকামির ম্যাগনাম ওপাস। এই বই নিয়ে আলোচনা করলে সারাদিন কথা বলা যাবে, পাতার পর পাতা লেখা যাবে, হাজারবার পড়া যাবে,নতুনভাবে আবিষ্কার করা যাবে। বইয়ের কিছু বিষয় খুবই সেনসিটিভ। তাই অনেকের কাছে ভালনারেবল হতে পারে। কাফকা অন দ্য শোর জাপানী এবং বিশ্বসাহিত্যের অনন্য সৃষ্টি। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ১৯৮৪ সালে নি:সঙ্গতার একশ বছরের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। মুরাকামি এই বই লেখেন ২০০২ সালে। ১৯৮৪ এর আগে প্রকাশিত হলে নোবেলটা অনায়াসেই তাকে দিয়ে দেওয়া হতো বলে আমার মনে হয়।
"মেয়েটাকে আমি ভালোবাসি"
বইয়ের নাম: কাফকা অন দ্য শোর (সমুদ্রতটে কাফকা)
লেখক : হারুকি মুরাকামি
➡️ গল্পটা ১৫ বছর বয়সী এক তরুনের। তার নাম কাফকা তামুরা। ছোটোবেলা থেকেই কারো ভালোবাসা পায়নি,৪ বছর বয়সে মা ছেড়ে চলে গেছে, বাবা সবসময় অভিশাপ দিয়ে গেছে তাকে। তার ছোট্ট জীবনটার বেশিরভাগ সময়ই গেছে লাইব্রেরীতে বই পড়ে। কোনো বন্ধু-বান্ধব নেই, জগৎের প্রতি টান নেই, ভালোবাসার মানুষ নেই। এরকম বন্ধনহীন মানুষের যা করা উচিৎ তাই করে কাফকা। বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। পিছনে রেখে যায় বাবার বিশাল সম্পত্তি। নতুন একটা শহরে গিয়ে একটা পারিবারিক লাইব্রেরীতে চাকরীও জুটিয়ে নেয়। মনের মধ্যে তার অনেক প্রশ্ন, কেনো তার মা তাকে ছেড়ে গিয়েছিলো? তার বাবা তাকে অদ্ভুত অভিশাপগুলোই বা কেনো দিলো? এরকমই হাজাররকম ভাবনা,চিন্তা,উপলব্ধি কাফকা তামুরার সাথে আমাদেরকেও আন্দোলিত করে যায়। একসময় প্রেমে পড়ে সে। তবে যার প্রেমে পড়েছে সে এই জগৎের সত্ত্বা নয়। এরই মাধ্যমে গল্পে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের সূচনা ঘটে। কাফকা তামুরার সমান্তরালে গল্পের অন্যতম মূল চরিত্র মি.নাকাতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক অদ্ভুত ঘটনায় স্মৃতিশক্তি সহ পড়ালেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সেও বন্ধনহীন একজন মানুষ। কথা বলে একটু অদ্ভুতভাবে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সে বিড়ালদের সাথে কথা বলতে পারে। লোকের বিড়াল হারিয়ে গেলে তা খুজে দিতে বদ্ধ পরিকর। কোনো দুশ্চিন্তা নেই,জটিলতা নেই,একদমই ছিমছাম একটা জীবন। কিন্তু ঘটনা পরিক্রমায় একটা খুন করে সে। এরপর শুরু হয় নতুনভবে জীবনে পাঠোদ্ধার এর গল্প। এই গল্পে কাফকা তামুরা ও নাকাতা একসাথে মিশে যায়। গল্পে এই দুজন বাদেও লাইব্রেরীয়ান ওশিমা,মিস সায়েকি,গাড়িচালক ওশিনোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কাফকা ও নাকাতা তাদের সারাজীবন ভালোবাসা খুজে চলেছে, তারা এমন একটা স্থান খুজেছে যেখানে বারবার ফিরে আসা যায়। কাফকা একটা সময় নিজের ভালোবাসা খুজে পায়, সেই ভালোবাসার জন্য অতীত, ভবিষ্যৎ সবকিছু ধ্বংস করতে সে রাজী। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য জাদুবাস্তবতা,আইডেন্টিটি ক্রাইসিস যার মাধ্যমে লেখক গভীর জীবনবোধের সন্ধান করেছেন,দিয়েছেন। ম্যাগনাম ওপাস নামক একটা শব্দ আছে যার দ্বারা কারো শ্রেষ্ঠ কাজ বুঝানো হয়।কাফকা অন দ্য শোরকে বলা হয় হারুকি মুরাকামির ম্যাগনাম ওপাস। এই বই নিয়ে আলোচনা করলে সারাদিন কথা বলা যাবে, পাতার পর পাতা লেখা যাবে, হাজারবার পড়া যাবে,নতুনভাবে আবিষ্কার করা যাবে। বইয়ের কিছু বিষয় খুবই সেনসিটিভ। তাই অনেকের কাছে ভালনারেবল হতে পারে। কাফকা অন দ্য শোর জাপানী এবং বিশ্বসাহিত্যের অনন্য সৃষ্টি। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ১৯৮৪ সালে নি:সঙ্গতার একশ বছরের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। মুরাকামি এই বই লেখেন ২০০২ সালে। ১৯৮৪ এর আগে প্রকাশিত হলে নোবেলটা অনায়াসেই তাকে দিয়ে দেওয়া হতো বলে আমার মনে হয়।