...
Show More
এসপিওনাজ এজেন্টরা কীভাবে কাজ করে, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে ঘুষ কিংবা হুমকি প্রদশর্নের মাধ্যমে এবং প্রতিপক্ষ সেটা কীভাবে কাউন্টার দেয় তার কনক্রিট বর্ণনা আছে বইটায়।
এই করতে গিয়ে বইটা হয়ে গেছে একটু স্লো। তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে না আনলেও চলবে৷ এসপিওনাজ প্রসেসগুলো আসলেই এরকম স্লো হওয়াই স্বাভাবিক।
মাসুদ রানা, জেমস বন্ড বা জেসন বর্ন যেরকম ঘাপাঘাপ তথ্য পেয়ে যায়, পেয়ে বর্ণিল একশনে নেমে পড়ে; বাস্তবে কি আসলেই এত সহজ এসপিওনাজ জগৎ??
না, এত সহজ নয়। একেকটা ইন্টেলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, দিনের পর দিন ওৎ পেতে থাকতে হয় কিংবা নজরে রাখতে হয় কোনো মানুষকে। এরপর ফাঁদ পেতে ধরার পরে যদি দেখা যায় ভুল লোককে ধরা হয়েছে, তবে পুরো প্রক্রিয়া আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৪৪ দিনের যুদ্ধে পরাজয় ঘটে হেভিওয়েট তকমা নিয়ে দাপট দেখানো ফ্রান্সের। নাজিদের হাতে পরাজিত ফ্রান্স তখন একরকম নাজিদের ঘরবাড়িই হয়ে গেছে। সেইন্ট সেসিল শ্যাতো একসময় ফরাসি অভিজাতদের জন্য বানানো হলেও এখন সেটি জার্মানদের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। ফ্রান্সে আসা সমস্ত টেলিফোন কল অপারেট করা হয় এই এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। এই শ্যাতো উড়িয়ে দেয়া তাই মিত্রবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগিয়ে আসছে নরমান্ডি ইনভেশনের দিন। সেসিল শ্যাতো গুড়িয়ে দিতে পারলে জার্মানদের কোমর ভেঙ্গে দেয়া যাবে।
অপারেশনের দায়িত্বে ফিমেল এজেন্ট ফেলিসিটি ক্লারিয়েট। আর তার অপোনেন্ট জার্মান মেজর ফ্রাঙ্ক ডিটার। কাহিনির বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না।
ফেলিসিটি ক্লারিয়েট ওরফে ফ্লিক পুরো উপন্যাস জুড়েই দারুণ উপস্থিতি দেখিয়েছে। তবে প্রোটাগনিস্ট হিসেবেই বোধহয় লেখক কিছু জায়গায় তাকে ওভারেটেড বানিয়েছেন।
মেজর ফ্রাঙ্ক ডিটার, এন্টাগনিস্ট হিসেবে আর কোনো চরিত্র মনে হয় এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না! স্বভাবগত জার্মান বুদ্ধিমত্তা, ধূর্ততা, রিমান্ডে তার সুকৌশলী হিংস্রতা, প্রখর ডিটেকটিভ মাইন্ড সব মিলিয়ে এই চরিত্রটিই বেশি ভালো লেগেছে।
স্পয়লার এলার্ট অন:
বইয়ের শেষে ডিটার যেভাবে হেরে যায় ফ্লিকের কাছে, এটা একদম অবাস্তব হয়েছে। যেম স্রেফ ভিলেনকে হারতে হবে, ডিটার তাই হারলো। ডিটারের পতন আরেকটু বাস্তবসম্মত করাই যেত।
স্পয়লার এলার্ট অফ।
অনুবাদ প্রসঙ্গে বলতে হয় অত্যন্ত সুন্দর অনুবাদ। ইমতিয়াজ আজাদের অনুবাদ নিয়ে সন্দেহ বা আপত্তির কোনো জায়গা নেই। অনুবাদ ৫/৫
এই করতে গিয়ে বইটা হয়ে গেছে একটু স্লো। তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে না আনলেও চলবে৷ এসপিওনাজ প্রসেসগুলো আসলেই এরকম স্লো হওয়াই স্বাভাবিক।
মাসুদ রানা, জেমস বন্ড বা জেসন বর্ন যেরকম ঘাপাঘাপ তথ্য পেয়ে যায়, পেয়ে বর্ণিল একশনে নেমে পড়ে; বাস্তবে কি আসলেই এত সহজ এসপিওনাজ জগৎ??
না, এত সহজ নয়। একেকটা ইন্টেলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, দিনের পর দিন ওৎ পেতে থাকতে হয় কিংবা নজরে রাখতে হয় কোনো মানুষকে। এরপর ফাঁদ পেতে ধরার পরে যদি দেখা যায় ভুল লোককে ধরা হয়েছে, তবে পুরো প্রক্রিয়া আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৪৪ দিনের যুদ্ধে পরাজয় ঘটে হেভিওয়েট তকমা নিয়ে দাপট দেখানো ফ্রান্সের। নাজিদের হাতে পরাজিত ফ্রান্স তখন একরকম নাজিদের ঘরবাড়িই হয়ে গেছে। সেইন্ট সেসিল শ্যাতো একসময় ফরাসি অভিজাতদের জন্য বানানো হলেও এখন সেটি জার্মানদের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। ফ্রান্সে আসা সমস্ত টেলিফোন কল অপারেট করা হয় এই এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। এই শ্যাতো উড়িয়ে দেয়া তাই মিত্রবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগিয়ে আসছে নরমান্ডি ইনভেশনের দিন। সেসিল শ্যাতো গুড়িয়ে দিতে পারলে জার্মানদের কোমর ভেঙ্গে দেয়া যাবে।
অপারেশনের দায়িত্বে ফিমেল এজেন্ট ফেলিসিটি ক্লারিয়েট। আর তার অপোনেন্ট জার্মান মেজর ফ্রাঙ্ক ডিটার। কাহিনির বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না।
ফেলিসিটি ক্লারিয়েট ওরফে ফ্লিক পুরো উপন্যাস জুড়েই দারুণ উপস্থিতি দেখিয়েছে। তবে প্রোটাগনিস্ট হিসেবেই বোধহয় লেখক কিছু জায়গায় তাকে ওভারেটেড বানিয়েছেন।
মেজর ফ্রাঙ্ক ডিটার, এন্টাগনিস্ট হিসেবে আর কোনো চরিত্র মনে হয় এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না! স্বভাবগত জার্মান বুদ্ধিমত্তা, ধূর্ততা, রিমান্ডে তার সুকৌশলী হিংস্রতা, প্রখর ডিটেকটিভ মাইন্ড সব মিলিয়ে এই চরিত্রটিই বেশি ভালো লেগেছে।
স্পয়লার এলার্ট অন:
বইয়ের শেষে ডিটার যেভাবে হেরে যায় ফ্লিকের কাছে, এটা একদম অবাস্তব হয়েছে। যেম স্রেফ ভিলেনকে হারতে হবে, ডিটার তাই হারলো। ডিটারের পতন আরেকটু বাস্তবসম্মত করাই যেত।
স্পয়লার এলার্ট অফ।
অনুবাদ প্রসঙ্গে বলতে হয় অত্যন্ত সুন্দর অনুবাদ। ইমতিয়াজ আজাদের অনুবাদ নিয়ে সন্দেহ বা আপত্তির কোনো জায়গা নেই। অনুবাদ ৫/৫