...
Show More
সেই সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প তো আমরা সবাই জানি। সেই হাঁস প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম পাড়তো, তো তার মালিক একদিন ভাবলো প্রতিদিন একটি একটি অরে ডিম পাওয়ার চেয়ে একবারে সব ডিম পেয়ে গেলে কেমন হয়? সেই চিন্তা থেকে হাঁসের পেট কেটে সব ডিম বের করতে গিয়ে সোনার ডিম পাড়া হাঁসকেই চিরতরে হারালো সে। লোভী মালিকের এই চিরায়ত গল্পটি শুধু ব্যাক্তি মানুষের ক্ষেত্রেই নয়, রাষ্ট্র বা স্টেট এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমেরিকার অসাধারণ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার মন্টানা রাজ্যের ঘটনা অনেকটাই এই লোভী মালিকের সাথে মিলে যায়। মন্টানা এককালে আমেরিকার সবচেয়ে সুন্দর অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিলো, শত শত মাইল ঘন সবুজ প্রকৃতি, স্ফটিক স্বচ্ছ লেকের জল, ট্রাউট ভর্তি স্রোত, বুনো পাহাড়, অন্তহীন অরণ্য, ডেইড়ি ফার্ম, রেঞ্চ, হাসিখুশী বন্ধুবৎসল মানুষজন, দেখে মনেহতো যেন কোন স্বর্গ! অথচ কালের বিবর্তনে সেই মন্টানা আমেরিকার ‘Livable City’ তালিকায় অনেক নিচে! কারন মন্টানাও ঠিক একইভাবে সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে মেরে ফেলেছিলো। মন্টানার আয়ের অন্যতম উৎস ছিলো বিভিন্ন ডেইর্রী ফার্ম ও রেঞ্চ, প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে কপার ছিলো আরেক অন্যতম আয়। আপাতদৃষ্টিতে অনিঃশেষ এই কপার কে দ্রুত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে মাত্রাতিরিক্ত মাইন করতে গিয়ে হাজার হাজার গ্যালন বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে যা পরবর্তীতে বর্জ্য হিসেবে লেকের পানিতে মিশে সুস্বাদু ট্রাউট কে মেরে ফেলা সহ লেকের পানির জীববৈচিত্র নষ্ট করছে। সেই একই পানি খেয়ে সাধারন নগরবাসীরা দীর্ঘমেয়াদি নানা অসুখে ভুগছে, ক্যান্সার যার মধ্যে অন্যতম। মাইনিং কোম্পানির অবকাঠামো তৈরিতে গাছপালা কেটে বন উজার করার সাথে সারাক্ষণ কিচির মিচির করতে থাকা পাখিরাও সাধারন মানুষের মত মন্টানা ছেড়ে পালাচ্ছে। আধুনিক উন্নত বিশ্বে পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মন্টানা।
মন্টানার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কি পারতেন না এই মাইনিং ঠেকাতে? তারা কি পারতেন না এই পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে? পারতেন হয়তো, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মন্টানায় ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা এই ক্ষতিকে মাইনিং এবং লগিং কোম্পানিগুলির নিয়ে আসা চাকরি বা কর্মসংস্থানের একটি গ্রহণযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন এবং যতক্ষণ না ক্ষতিটি লাভজনক পর্যটন সাইটগুলির খুব কাছাকাছি না যায়, ততক্ষণ এটি সমস্যাযুক্ত হিসাবে দেখতে রাজী ছিলেন না। মন্টানা এই যে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে তা থেকে দুটো শিক্ষা পাওয়া যায়, এক- বাইরে থেকে একটি সমাজ বা রাষ্ট্রকে আপাতদৃষ্টিতে ফিটফাট মনে হলেও ভেতরে ভেতরে এর পচন ঘটতে থাকতে পারে। দুই- রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিগণ কর্তৃক কোন সমস্যা অপরিবর্তনীয়/অসহনীয় না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত একে সমস্যা বলে স্বীকার করে নিতে অপারগতা অনেক ক্ষেত্রেই একটি রাষ্ট্রের ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাছাড়াও অতি লোভে পড়ে প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশ কে ‘Exhaust’ করে দিতে পারে যা ইভেনচুয়ালি একটি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
Jared Diamond তাঁর ‘Collapse’ বইয়ে একটি সমাজ বা রাষ্ট্রের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পেছনে ৫টি মূল কারণ কে চিহ্নিত করেছেন।
এক- স্ব-প্ররোচিত পরিবেশগত ক্ষতি; দুই- জলবায়ু পরিবর্তন; তিন-ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সমস্যা; চার- প্রতিবেশী দেশ দ্বারা ক্ষতি (Hostile Neighbour) এবং পাঁচ- যেকোন ধরনের পরিবর্তনের মেনে নিতে অনীহা।
এই পাঁচটি কারণের মধ্যে শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন এককভাবে রোধ করা সম্ভব নয়, বাকী সবই রাষ্ট্রের নিজের হাতে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের চয়েজ দ্বারাই একটি দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়। প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক ও গুরুত্বপুর্ন ব্যবসায়িক অংশীদারকে ধরে রাখতে কূটনৈতিক কৌশল কতটা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে তা লেখক বিভিন্ন দেশের ও পুরনো সভ্যতার উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন। যেমন Pitcairn Island and Mangarevan Society এর মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্কের উদাহরণ। স্ব-প্ররোচিত পরিবেশগত ক্ষতির উদাহরণ হিসেবে ইস্টার আইল্যান্ডের Moai builders, Mayan Civilization এর ব্যাখ্যা আধুনিক বিশ্বের অনেক দেশের পরিস্থিতির সাথেই মিলে যায়। লেখক চায়নার মাত্রাতিরিক্ত ইন্ডাস্ট্রিয়ালিজেশনও স্ব-প্ররোচিত পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে বলে মনে করছেন। প্রতি বছর চীন তার মোট জিডিপি’র ৮% পলিউশন জনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে খরচ করছে যা টাকার অংকে ৫৪ বিলিয়ন ডলার! সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে চীন কর্তৃক পরিবেশ দূষণের প্রতিকূল প্রভাব অন্য দেশের উপরেও পড়ছে।
পরিবর্তন মেনে নিতে না পারা বা পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারাও যে কোন জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ গ্রীনল্যান্ডের নর্স (Norse) জাতির বিলুপ্তি। স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে নর্সরা এসে গ্রীনল্যান্ডে বসবাস শুরু করে। গবাদি পশু ছিলো নর্সদের অন্যতম প্রধান খাদ্য, কিন্তু গ্রীনল্যান্ড গবাদি পশু পালনের জন্য একেবারেই অনুকূলে ছিলো না। প্রোটিনের উৎস হিসেবে গ্রীনল্যান্ডে মাছের অপরিসীম ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও খাদ্যতালিকায় গবাদি পশুর মাংশ রাখার জেদের কারনেই নর্স জাতি বিলুপ্ত হয়েছিলো বলে মনে করেন লেখক। স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে গবাদি পশু এনে গ্রীনল্যান্ডে পালন করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করা বা ওখান থেকে গবাদি পশুর মাংস বহন করে নিয়ে আসার মাত্রাতিরিক্ত খরচ নর্সদের জাতিগত রিসোর্স ভান্ডারকে শূণ্য করে দিয়েছিলো। অথচ গ্রীনল্যান্ডের ইন্যুইট দের মত মাছ খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই হয়ত এই ধ্বংস ঠেকানো যেত।
Jared Diamond এর এই বই অনেক অনেক তথ্যে ঠাসা একটি গবেষণা পত্রের মত মনে হলেও এবং পড়তে কিছুটা একঘেয়ে লাগলেও চিন্তার খোরাক যোগায়। একটু ভাবলেই বাংলাদেশের সাথে ৫টির প্রতিটি বিষয়কেই মেলানো সম্ভব। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমায়ের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের ফলে তৈরী পোষাকসহ আরো নানা ব্যাবসায়িক স্বার্থে অনেক সুযোগ সুবিধা হারানো ও এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য অবকাঠামো ইত্যাদির পরিবেশগত বিপর্যয়ের বিষয় এবং বিভিন্নভাবে নিজেদের পরিবেশকে দূষিত করা তথা Ecocide করার ফলে ভবিষ্যতে কী কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, অন্ততপক্ষে এইটুকু ভাবাতে বইটি যথেষ্টই সহায়ক হবে।
মন্টানার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কি পারতেন না এই মাইনিং ঠেকাতে? তারা কি পারতেন না এই পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে? পারতেন হয়তো, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মন্টানায় ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা এই ক্ষতিকে মাইনিং এবং লগিং কোম্পানিগুলির নিয়ে আসা চাকরি বা কর্মসংস্থানের একটি গ্রহণযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন এবং যতক্ষণ না ক্ষতিটি লাভজনক পর্যটন সাইটগুলির খুব কাছাকাছি না যায়, ততক্ষণ এটি সমস্যাযুক্ত হিসাবে দেখতে রাজী ছিলেন না। মন্টানা এই যে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে তা থেকে দুটো শিক্ষা পাওয়া যায়, এক- বাইরে থেকে একটি সমাজ বা রাষ্ট্রকে আপাতদৃষ্টিতে ফিটফাট মনে হলেও ভেতরে ভেতরে এর পচন ঘটতে থাকতে পারে। দুই- রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিগণ কর্তৃক কোন সমস্যা অপরিবর্তনীয়/অসহনীয় না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত একে সমস্যা বলে স্বীকার করে নিতে অপারগতা অনেক ক্ষেত্রেই একটি রাষ্ট্রের ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাছাড়াও অতি লোভে পড়ে প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশ কে ‘Exhaust’ করে দিতে পারে যা ইভেনচুয়ালি একটি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
Jared Diamond তাঁর ‘Collapse’ বইয়ে একটি সমাজ বা রাষ্ট্রের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পেছনে ৫টি মূল কারণ কে চিহ্নিত করেছেন।
এক- স্ব-প্ররোচিত পরিবেশগত ক্ষতি; দুই- জলবায়ু পরিবর্তন; তিন-ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সমস্যা; চার- প্রতিবেশী দেশ দ্বারা ক্ষতি (Hostile Neighbour) এবং পাঁচ- যেকোন ধরনের পরিবর্তনের মেনে নিতে অনীহা।
এই পাঁচটি কারণের মধ্যে শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন এককভাবে রোধ করা সম্ভব নয়, বাকী সবই রাষ্ট্রের নিজের হাতে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের চয়েজ দ্বারাই একটি দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়। প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক ও গুরুত্বপুর্ন ব্যবসায়িক অংশীদারকে ধরে রাখতে কূটনৈতিক কৌশল কতটা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে তা লেখক বিভিন্ন দেশের ও পুরনো সভ্যতার উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন। যেমন Pitcairn Island and Mangarevan Society এর মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্কের উদাহরণ। স্ব-প্ররোচিত পরিবেশগত ক্ষতির উদাহরণ হিসেবে ইস্টার আইল্যান্ডের Moai builders, Mayan Civilization এর ব্যাখ্যা আধুনিক বিশ্বের অনেক দেশের পরিস্থিতির সাথেই মিলে যায়। লেখক চায়নার মাত্রাতিরিক্ত ইন্ডাস্ট্রিয়ালিজেশনও স্ব-প্ররোচিত পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে বলে মনে করছেন। প্রতি বছর চীন তার মোট জিডিপি’র ৮% পলিউশন জনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে খরচ করছে যা টাকার অংকে ৫৪ বিলিয়ন ডলার! সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে চীন কর্তৃক পরিবেশ দূষণের প্রতিকূল প্রভাব অন্য দেশের উপরেও পড়ছে।
পরিবর্তন মেনে নিতে না পারা বা পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারাও যে কোন জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ গ্রীনল্যান্ডের নর্স (Norse) জাতির বিলুপ্তি। স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে নর্সরা এসে গ্রীনল্যান্ডে বসবাস শুরু করে। গবাদি পশু ছিলো নর্সদের অন্যতম প্রধান খাদ্য, কিন্তু গ্রীনল্যান্ড গবাদি পশু পালনের জন্য একেবারেই অনুকূলে ছিলো না। প্রোটিনের উৎস হিসেবে গ্রীনল্যান্ডে মাছের অপরিসীম ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও খাদ্যতালিকায় গবাদি পশুর মাংশ রাখার জেদের কারনেই নর্স জাতি বিলুপ্ত হয়েছিলো বলে মনে করেন লেখক। স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে গবাদি পশু এনে গ্রীনল্যান্ডে পালন করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করা বা ওখান থেকে গবাদি পশুর মাংস বহন করে নিয়ে আসার মাত্রাতিরিক্ত খরচ নর্সদের জাতিগত রিসোর্স ভান্ডারকে শূণ্য করে দিয়েছিলো। অথচ গ্রীনল্যান্ডের ইন্যুইট দের মত মাছ খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই হয়ত এই ধ্বংস ঠেকানো যেত।
Jared Diamond এর এই বই অনেক অনেক তথ্যে ঠাসা একটি গবেষণা পত্রের মত মনে হলেও এবং পড়তে কিছুটা একঘেয়ে লাগলেও চিন্তার খোরাক যোগায়। একটু ভাবলেই বাংলাদেশের সাথে ৫টির প্রতিটি বিষয়কেই মেলানো সম্ভব। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমায়ের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের ফলে তৈরী পোষাকসহ আরো নানা ব্যাবসায়িক স্বার্থে অনেক সুযোগ সুবিধা হারানো ও এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য অবকাঠামো ইত্যাদির পরিবেশগত বিপর্যয়ের বিষয় এবং বিভিন্নভাবে নিজেদের পরিবেশকে দূষিত করা তথা Ecocide করার ফলে ভবিষ্যতে কী কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, অন্ততপক্ষে এইটুকু ভাবাতে বইটি যথেষ্টই সহায়ক হবে।